আগের পর্বগুলোতে খাবার নিয়ে আলোচনা করেছি। অনেক হলো খাবারদাবার। এই পর্বে, কিছু টিপস শেয়ার করব, যা মেনে চললে আপনার ওজন নিয়ে থাকবে না কোনো টেনশন, জীবন হবে সুন্দর।
- আপনার পেটের একটা বন্ধু আছে নাম ডায়েটিশিয়ান। খাবারের চার্ট করতে তার সাহায্য নিন।
- রাত ৮-৯ মধ্যে রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি ঘুমানোর কয়েক ঘন্টা আগে যদি বেশিরভাগ খাবার খান তবে আপনার শরীর আরও ভাল হজম করতে সক্ষম হয়। স্বাস্থ্যকর ওজন -পরিচালনার জন্য ভাল হজম গুরুত্বপূর্ণ।
- দিনে লিটারচারেক পানি খাবেন, এতে করে দেহে ওয়াটার রিটেনশন হওয়ার আশঙ্কা কমে, যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়।
- অতিরিক্ত আম খাওয়া থেকে বিরতো থাকুন।
- আপনার বড় খাবারগুলি একাধিক ছোট খাবারে ভাগ করুন। কারণ মনের ক্ষুধা বড় ক্ষুধা। উদাহরণ – যখন ছোটো প্লেটে খাবার নিবেন, সাইন্টিফিকেলি আপনার কাছে মনে হবে বেশি খেয়ে ফেলেছেন। আর এই কাজটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে কিন্তু।
- রেগুলার কাজ করুন। ঘর মোছা, ঝাড়ু দেয়া, টবে পানি দেয়া ইত্যাদি কাজে হাত দিন, ক্যালরি ক্ষয় হবে।
- অবশ্যই নিয়ম করে প্রতিদিন ঘরের রুমে দরকার হলে হাঁটুন।
- সকাল বেলা ছাদে গিয়ে গায়ে রোদ লাগিয়ে আসুন।
- রাত জাগা বন্ধ করুন, আপনার হরমোনাল পরিবর্তন, স্ট্রেস সবকিছু কিন্তু দায়ী এই অনিয়মিতো ঘুম।
- পরিবারকে সময় দিন, মেডিটেশন করুন।
- দুপুরে রাতে খাবারের পর সালাদ, দই রাখুন।
- শাক জাতীয় খাবার রাখুন। রাতে নয়, দুপুরে। তবে যেদিন বেশি খেয়ে ফেলবেন সেদিন শাক রাতেও রাখতে পারেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ ওজন বাড়িয়ে দেয়। অতএব, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিমাণ লবণ গ্রহণ করতে হবে।
আমরা কেউ জানতাম না, আমাদের সাথে কী হতে যাচ্ছে। তবে মানুষ কিন্তু অভ্যাসের দাস। তাই পরিস্থিতিকে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আর এতো চিন্তা কিসের, একটু নিয়ম মেনে চলুন, ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে জীবনকে বানান নো চিন্তা ডু ফূর্তি।